ভোরবেলা সূর্য প্রণাম করে কেন? / গুরুজনেরা নমস্য কেন? surya namaskar kano korea.
ভোরবেলা সূর্য প্রণাম করে কেন:-
![]() |
Surya namaskar |
সূর্যই প্রধান বৈদিক দেবতা। সূর্যই সকল শক্তির উৎস। সূর্য ছাড়া সমগ্র জীবজগং বাঁচতে পারে না। তাই প্রত্যহ প্রাতে কর্মজীবনে প্রবেশ করার আগে সূর্যকে বন্দনা করে সারাদিনের মঙ্গল কামনা করা হয়। শাস্ত্রের এই কারণটির পিছনে বয়েছে বৈজ্ঞানিক যুক্তি। সূর্য না থাকলে এই বিশ্ব নিশ্চিহ্ন হয়ে যেত, সেজন্য শাস্ত্রকারগণ সূর্যের অপরিসীম অবদানের কথা শ্রদ্ধান্বিত চিত্তে আমাদের স্মরণ করানাের পদ্ধতির মাধ্যমে আমাদের আর একটি বিজ্ঞানসম্মত উপকারের ব্যবস্থা করে গেছেন। | সূর্যের উদয় কালে এক ধরনের রশ্মি বিচ্ছুরিত হয়, এটি চোখের পক্ষে খুবই । উপকারী। কাজেই ভােরবেলায় উদীয়মান সূর্যের দিকে চেয়ে সূর্য প্রণামের দ্বারা আমাদের দৃষ্টিশক্তি বজায় রাখার ব্যবস্থা করি।
গুরুজনেরা নমস্য কেন:-
অহংকার মানুষের পতন ঘটায় এবং উন্নতির পথে বাধা হয়ে দাঁড়ায়। গুরুজনদের প্রণাম করলে ছােটদের মনের বিনয় ভাব প্রকাশ পায়। গুরুজনরাও খুশী হন এবং ছােটদের প্রতি তাদের স্নেহ বৃদ্ধি পায়। তাঁরা ছােটদের মধ্যে নিজেদের জ্ঞান ছড়িয়ে দিতে আগ্রহী হন। তাই শাস্ত্রে বলা হয়েছে গুরুজনেরা নমস্য। শাস্ত্রকারণণ এই শিক্ষার মাধ্যমেই গুরুজনদের ওপর ভক্তিপূর্ণ বিশ্বাস প্রতিষ্ঠিত করে গেছেন। কারণ ভক্তি না থাকলে তার শিক্ষা বা উপদেশে বিশ্বাস আসে না।
তুলসীমঞ্চে প্রতিদিন জল দেওয়া হয় কেন:-
আমাদের ধর্ম শাস্ত্রে তুলসী গাছকে অত্যন্ত পবিত্র বলা হয়েছে। তুলসীকে ‘অপেরা রাক্ষসী বলা হয়। বাড়ীতে তুলসীগাছ থাকলে বাক্ষস বা ভূত-প্রেতের ভয় থাকে না। এ ছাড়াও তুলসী পাতা সর্দি-কাশি উপশমে এবং পানীয় জল শোধন এ ব্যবহৃত হয়ে থাকে। অনেকে অজ্ঞানতাবশে একে উপহাস করেন। কিন্তু শাস্ত্রকারগণ যাতে সবার কাছেই তুলসীপত্র কাছাকাছি থাকে, সেজন্য প্রতি গৃহে তুলসী বৃক্ষ রোপন করার কথা বলে গেছেন। আর প্রতিদিন তাতে জল না দিলে গাছটি মরে যেতে পারে, তাই এই হল দেবার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
দেবতা দেখা যায় না কেন?
দেবগন সালমান দৃষ্টিতে দেখা দেন না। দেবতাদের দেখার জন্য বি দুষ্টির প্রয়োজন। মহাভারতের মহান বন্ধু অন্যের বন্ধু মানব কাপে ভগবান শ্রীকৃষ্ণ স তার সাথে হাতে। কিন্তু তার দেবর দেখার জন্য অহা বিরাট রূপ দেখার জন্য যখন তিনি অজনকে দিব্য দৃষ্টি প্রদান করেন তখন তিনি ভগবান শ্রীকৃষ্ণের বিরাট সাপ দেখাতে পান। যারা দেবতার স্বকাপ দেখার অধিকারী তাদেরই দেবত দেখা দেন। অন্যদের নয়।